আজ শুক্রবার, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফের আইভীতেই ভরসা

স্টাফ রিপোর্টার :

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই আত্মগোপনে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বাঘা-বাঘা আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান ও তার কর্মীদেরও দেখা নেই। তবে নারায়ণগঞ্জ ত্যাগ করেননি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। অন্যরা আত্মগোপনে গেলেও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে তিনি আছেন নিজ এলাকাতেই। এবারের ১৫ই আগস্টের কর্মসূচি পালনে যখন নারায়ণগঞ্জের সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ নেতারা পিছ পা হচ্ছেন, তখন ত্যাগী নেতাদের কাছে এক মাত্র ভরসার নাম হয়ে উঠেছে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। প্রবীন নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে যেহেতু মাথা উঁচু করে চলছেন মেয়র আইভী; সেহেতু তিনিই পারেন শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মান রক্ষা করতে। সেই ভরসা থেকেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাকিয়ে আছেন মেয়র আইভীর দিকে।
জানা গেছে, বিগত বিএনপি সরকারের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জে যখন বিএনপির আধিপত্য চলছিল, তখন এই জেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা লাপাত্তা ছিলেন। ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌর-সভার নির্বাচনে পৌর মেয়র হয়ে মেয়র আইভী আওয়ামী লীগের অবস্থান যেমন ধরে রেখেছেন, তেমনই টিকিয়ে রেখেছিলেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের অস্তিত্বও। ওই সময়ে মেয়র আইভীর পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫ই আগস্টের শোক দিবস পালিত হতো। দলের ত্যাগী ও সাচ্চা নেতাকর্মীরাও আইভীর দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
সময়ের ব্যবধানে এবারও সেই আইভীর উপরই নির্ভর করছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আইভী এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র। তাকে যারা বিগত সময়ে হুংকার দিয়ে গেছে, রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছে, সেই তারাই এখন আত্মগোপনে রয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন মেয়র আইভী।
এবারের ১৫ই আগস্টের কর্মসূচি পালনে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা এলেও আত্মগোপনে থাকা নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই তা পালন না করার পক্ষে নানা অযুহাত দাড় করাচ্ছেন। তবে মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জে থাকায় দলটির সাচ্চা ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে ১৫ই আগস্টের অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের মান রাখতে পারেন কেবল মেয়র আইভীই। তাই প্রকৃত কর্মী-সমর্থকরা এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছেন।